যাদের সলাত ক্ববুল হয় না [দালীল]



যাদের সলাত ক্ববুল হয় না দালীল

ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... জারীর ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন দাস পালিয়ে যায়, তখন তার সালাত (নামায/নামাজ) কবুল হয় না।
আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণনা আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন ব্যক্তির নামায তাদের কান ডিঙ্গায় না (কবুল হয় না)। পলায়নকারী দাস যে পর্যন্ত তার মালিকের নিকটে ফিরে না আসে; যে মহিলা তার স্বামীর বিরাগ নিয়ে রাত কাটায় এবং যে ইমামকে তার সম্প্রদায়ের লোকেরা পছন্দ করে না।

আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণনা আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন ব্যক্তির নামায তাদের কান ডিঙ্গায় না (কবুল হয় না)। পলায়নকারী দাস যে পর্যন্ত তার মালিকের নিকটে ফিরে না আসে; যে মহিলা তার স্বামীর বিরাগ নিয়ে রাত কাটায় এবং যে ইমামকে তার সম্প্রদায়ের লোকেরা পছন্দ করে না।

৫৭১৪-(১২৫/২২৩০) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না আনায়ী (রহঃ) ..... নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতক স্ত্রীর সানাদে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে লোক আররাফ*-এর (গণকের) নিকট গেল এবং তাকে কোন ব্যাপারে প্রশ্ন করল, চল্লিশ রাত্রি তার কোন সলাত (সালাত/নামাজ/নামায) গ্রহণযোগ্য হবে না।
১৮৬২। আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ  মদ পানকারী ব্যক্তির চল্লিশ দিনের নামায কুবুল করা হয় না। সে তাওবা করলে তবে আল্লাহ তা'আলা তার তাওবা কুবুল করেন।
যদি আবার সে মদ পান করে তাহলে আল্লাহ তা'আলা তার চল্লিশ দিনের নামায কুবুল করেন না। যদি সে তাওবা করে তাহলে আল্লাহ তা'আলা তার তাওবা গ্রহণ করেন।
সে যদি আবার মদ পানে লিপ্ত হয় তাহলে তার চল্লিশ দিনের নামায আল্লাহ তা'আলা গ্রহণ করেন না। যদি সে তাওবা করে আল্লাহ তা'আলা তার তাওবা কবুল করেন।
সে চতুর্থ বারে মদ পানে জড়িয়ে পড়লে আল্লাহ তা'আলা তার চল্লিশ দিনের নামায গ্রহণ করেন না। যদি সে তাওবা করে আল্লাহ তা'আলা তার তাওবা কুকূল করবেন না এবং তাকে 'নাহরুল খাবাল হতে পান করাবেন।
প্রশ্ন করা হল, হে আবূ আবদুর রাহমান (ইবনু উমার) খাবাল নামক ঝর্ণাটি কি? তিনি বললেন, জাহান্নামীদের পূজের ঝর্ণা।

২৬৫। আবু মাসউদ আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রুকৃ ও সাজদাহ্তে পিঠ স্থিরভাবে সোজা করে না তার নামায সহীহ হয় না।

৫৫১। ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মুয়াযযিনের আযান শুনা সত্ত্বেও কোনরূপ ওজর ছাড়া (বিনা কারণে) জামাআতে সলাত আদায়ে বিরত থাকে তার অন্যত্র (একাকী) সলাত কবুল হবে না। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ওজর কি? নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ভয়-ভীতি অথবা অসুস্থতা। 

৪১৭৪। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমার সাথে এক মহিলার দেখা হলো, যার শরীর থেকে সুগন্ধি বের হচ্ছিল এবং তার (পাতলা) কাপড়ও বাতাসে উড়ছিল। তখন আমি তাকে বলি, হে বেহায়া মহিলা! তুমি কি মাসজিদ থেকে আসছো? সে বললো, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তুমি কি খুশবু ব্যবহার করেছো? সে বললো, হ্যাঁ। তখন আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, আমি আমার প্রিয় আবুল কাসিম [রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-কে বলতে শুনেছিঃ যে মহিলা খুশবু লাগিয়ে এ মাসজিদে আসে, তার সালাত কবুল হয় না, যতক্ষণ না সে ফিরে গিয়ে নাপাকী গোসলের ন্যায় গোসল করে। (এমন উত্তমরূপে গোসল করে যাতে তার দেহে কোনো সুগন্ধি না থাকে)।

(১২৫) আবূ উমামাহ কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তিন ব্যক্তির নিকট হতে আল্লাহ ফরয, নফল কিছুই গ্রহণ করবেন না; পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, দান করে প্রচারকারী এবং তাকদীর অস্বীকারকারী ব্যক্তি।’’

১০
(১২৫) আবূ উমামাহ কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তিন ব্যক্তির নিকট হতে আল্লাহ ফরয, নফল কিছুই গ্রহণ করবেন না; পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, দান করে প্রচারকারী এবং তাকদীর অস্বীকারকারী ব্যক্তি।’’

১১
(১২৫) আবূ উমামাহ কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তিন ব্যক্তির নিকট হতে আল্লাহ ফরয, নফল কিছুই গ্রহণ করবেন না; পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, দান করে প্রচারকারী এবং তাকদীর অস্বীকারকারী ব্যক্তি।’’

১২
যে লোক তার বাবাকে পরিত্যাগ করে অন্য কাউকে বাবা বলে দাবি করে (নিজের বংশপরিচয় গোপন করে অন্য বংশের পরিচয় দেয়) অথবা তার মনিবকে ছেড়ে দিয়ে অন্য মনিবের নিকট পালিয়ে যায় তার উপর আল্লাহ, ফিরিশতাগণ এবং সকল মানুষের অভিশাপ। তার ফরয বা নাফল কোন ইবাদাতই গ্রহণ করা হবে না।

১৩


১৪


১৫
১৮৭০. আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের কাছে আল্লাহ্‌র কিতাব এবং নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত, এ সহীফা ছাড়া আর কিছুই নেই। তিনি আরো বলেন, ‘আয়ির নামক জায়গা হতে অমুক জায়গা পর্যন্ত মদিনা হল হারাম। যদি কেউ এতে অঘটন ঘটায় অথবা আশ্রয় দেয়, তাহলে তার উপর আল্লাহর, ফেরেশ্তা ও মানুষের অভিসম্পাত। সে ব্যক্তির কোন ফরয এবং নফল ইবাদত গৃহীত হবে না। তিনি আরো বলেন, মুসলমান কর্তৃক নিরাপত্তা দানের অধিকার সকলের ক্ষেত্রে সমান। তাই যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দেয়া নিরাপত্তাকে লঙ্ঘন করবে, তার প্রতি আল্লাহ্‌র অভিসম্পাত এবং সকল ফেরেশতা ও মানুষের। আর কবূল করা হবে না তার কোন নফল কিংবা ফরয ইবাদাত। যে ব্যক্তি তার মাওলার (চুক্তিবদ্ধ মিত্রের) অনুমতি ছাড়া অন্য সম্প্রদায়ের সাথে বন্ধুত্ব করবে, তার প্রতিও আল্লাহ্‌র এবং সব ফেরেশতা ও সকল মানুষের অভিসম্পাত। তার ফরয কিংবা নফল কোন ইবাদাতই কবূল করা হবে না। আবূ আবদুল্লাহ (রহ.) বলেন, ‘আদলুনঅর্থ বিনিময়।

১৬
৩১৭২. ইব্রাহীম তাইমী (রহ.)-এর পিতা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ) আমাদের সামনে ভাষণ দিলেন এবং বললেন, আমাদের নিকট আল্লাহর কিতাব ও এই সহীফায় যা আছে, এছাড়া অন্য কোন কিতাব নেই, যা আমরা পাঠ করে থাকি। তিনি বলেন, এ সাহীফায় রয়েছে, যখমের দন্ড বিধান, উটের বয়সের বিবরণ এবং আইর পর্বত থেকে সওর পর্যন্ত মদিনা্ হারাম হবার বিধান। যে ব্যক্তি এর মধ্যে বিদ্আত উদ্ভাবণ করে কিংবা বিদ্আতীকে আশ্রয় দেয়, তার উপর আল্লাহ, ফেরেশতা ও সকল মানুষের অভিসম্পাত। আল্লাহ তার কোন নফল ও ফরজ ইবাদাত কবূল করেন না। আর যে নিজ মাওলা ব্যতীত অন্যকে মাওলা হিসেবে গ্রহণ করে, তার উপর একই রকম লানত। আর নিরাপত্তা দানের ক্ষেত্রে সর্বস্তরের মুসলিমগণ একইভাবে দায়িত্বশীল এবং যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের চুক্তি ভঙ্গ করে তার উপরও তেমনি অভিসম্পাত। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন