মহান আল্লাহ বলেনঃ “......আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রসুলের অনুসরন কর......” (সুরা নিসাঃ ৫৯)
আল্লাহর রসুল (সঃ) বলেনঃ “যে ব্যক্তি আমাদের শরীয়তে এমন কিছু নতুন (সওয়াবের আশায়) যা
তার মধ্যে নেই (আল্লাহর রসুল বলে যান নি যা মত দিয়ে যাননি), তা বাতিল।” (বুখারী)
তিনি আরো বলেনঃ “আর তোমরা দ্বীনের মধ্যে (সওয়াবের আশায়) নুতুন কিছু
সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকো। নিশ্চয়ই (ইসলামের নামে) সকল
নতুন সৃষ্টিই বিদ’আত।
আর প্রত্যেক বিদ’আতই হল গোমরাহী, আর প্রত্যেক
গোমরাহীর পরিনাম জাহান্নাম।”
বিদ’আত এর শাব্দিক অর্থঃ পরিবর্তন, নতুনত্ব, আবিষ্কার।
বিদা’আত এর শারীয়াতগত অর্থঃ যা (যে কোন আমাল) ইসলামে রসুল(সঃ) এবং তাঁর সাহাবা (রঃ)(বিশেষ করে
চার খলিফার আমলে) সময়ে সওয়াবের আশায় করা
হত না বা ছিল না কিন্তু পরবর্তিতে তা সওয়াবের আশায় পরিবর্তন বা আবিষ্কার করা হয়েছে তাই
বিদ’আত।
আসুন্ উপরের কুর’আন হাদিস ও সংজ্ঞা অনুযায়ী ১টি বিদা’আত আমরা আজ চিনব ইনশাল্লাহঃ
▓▓▓▓ বিশ্ব এজতেমা ▓▓▓▓
এরকম কোন ঘটনা পাওয়া যায় না যেখানে, আল্লাহ এবং
তাঁর রসুল(সঃ) “হাজ্জ”
ব্যতিত সকল উম্মাহকে কোন এক জায়গায় ইবাদাত
এর উদ্দ্যেশে জামা’য়েত
হতে নির্দেশ দিয়েছেন।
১.তাবলীগ জাম’আতেরা আল্লাহর জন্যে বের হওয়া বলতে যে ধরণের বের হওয়াকে বুঝে থাকে আসলে তা
নয়। তারা বের হওয়ার জন্যে যেভাবে আহবান করে থাকে তা একটি বিদ’আত যা সালাফদের (সাহাবাদের) থেকে বর্ণিত নেই,অর্থাৎ সালাফদের কেউ এভাবে বের হওয়ার জন্যে আহবান করেন নি।আল্লাহর দিকে
মানুষকে ডাকার জন্যে বের হওয়াকে কয়েকটি দিনের মাঝে সীমাবদ্ধ করা যায় না,বরং একজন মানুষ তার সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে লোকদের আল্লাহর দিকে আহবান
করবে,তার এই সামর্থ্যকে সে কোন নির্দিষ্ট কিছু দিন যেমন চল্লিশ দিন বা এর কিছু বেশি বা কম অথবা
কোন দলের মাঝে সীমাবদ্ধ করবে না।
২. তারা এই এজতেমাকে একটি ইবাদাহ’তে পরিণত করে। ফলে তারা কুর’আনের ভুল উদ্ধৃতি দিতে শুরু করে ।
৩.দয়িফ (দুর্বল) এবং মাওযু (জাল) হাদীসের বহুল প্রচলন রয়েছে তাদের
মাঝে।
৪. তাদের অনেকে তাদের সন্তানাদি ও পরিবারের প্রতি উদাসীন,
তাবলীগ, এজতেমা করতে করতে তাদের পরিবার এর সাথে দুরুত্ব সৃষ্টি হয় যা সুন্নাত এর
খেলাপ।
৫. সবচেয়ে বড় বিদা’আতটি হল দলবদ্ধ মুনাজাত বা জামা’আতএ মুনাজাতঃ “আখেরী মুনাজাত”
যার কোন ভিত্তিই (হাদিস) নেই আল্লাহ ও রসুলের(সঃ) পক্ষ
থেকে।
এজতেমার নিয়ে একটি বিশেষ গোমরাহীতাঃ অনেকে এর ধারনা এজতেমাতে (যা হাজ্জ এর পর
দ্বিতীয় বৃহৎ সমাবেশ) যোগদান করলে বা ঐ স্থানে সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করলে অনেক
ফায়দা হয় বিশেষ করে ২-৩ এজতেমাতে যোগদান করলেই ১ হাজ্জ এর সওয়াব পাওয়া যায়। এটা ডাহা মিথ্যা কথা ও একরকম
কুফুরী আক্বীদা।
এরকম বহু
আক্বীদা রয়েছে যা এজতেমাতে বিভিন্নভাবে প্রচার ও প্রসার করা হয় যা শিরক ও কুফুরীর
ও হারাম এর প্রবেশ পর্যন্ত ঘটায়!!!!!
তাই বলছিঃ “একটি আয়াত বা হাদীস বা
সাহাবাদের আমাল পেশ করুন যদি আপনি এজতেমাকে ইবাদাত গন্য করে যেতে চান।”
কেননা আল্লাহ তা’আলা বলছেনঃ
“তোমাদের প্রমান নিয়ে আসো যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো।” (সুরা বাকরাঃ ১১১)