শিরক- তাগা, বালা, সুতা, ব্রেস্লেট
আমাদের দেশে আজ প্রায়ই
দেখা যায় অনেকের হাতে- কালো রাবারের চুড়ি, পিতলের বালা, লাল সূতা ও আজমীরি সুতা- ইলিংসের
বালা, ব্রেস্লেট ইত্যাদি। আমরা অনেকে হয়ত অসচেতন এ ব্যাপারে! দেখা যাক ইসলাম
কি বলে?
একবার রসূল (সঃ) এক ব্যাক্তির হাতে পিতলের
বালা দেখতে পেলেন। তিনি বললেনঃ “এটি কী?” লোকটি বললঃ “রোগের জন্য”। রসূল(সঃ) বলেলনঃ ওটি খুলে ফেলো! কারন ওটি তোমার কষ্ট শুধু বাড়িয়েই
দেবে। এই বালা সাথে থাকা অবস্থাইয় যদি তুমি মারা যাও তাহলে কোনদিন সফল হতে পারবে না (জান্নাতে যেতে পারবে না) ।
[মুসনাদে আহমাদ]
আবার দেখা যাক হাদিসে
কি বলেঃ
আল্লাহর রসূল(সঃ)
একবার একজনের হাতে জ্বর নিরাময়ের জন্য সুতা বা তাগা দেখলেন। এবস্থায় তিনি
সে সূতা কেটে ফেললেন এবং বললেন-
“অধিকাংশ মানুষ আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা সত্ত্বেও মুশরিক” [সুরা ইউসুফঃ ১০৬]
[তাফসীরে ইবনে কাসীর ৪র্থ খন্ড]
ভালো করে ভেবে দেখুন, আপনার হাতে যে সূতা, তাগা, বালা, ব্রেস্লেট-
টি রয়েছে সেটা আপনি কেন পড়েছেন?? মুশরিক হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট!!!
আপনি বলছেন, “আমি তো এমনি এমনি হাতে বালা পড়ি?”
ঠিক আছে! ওহে ভাই,
তুমি যদি মুসলিম হয়ে থাকো তাহলে দেখোওতো কোন নাবী রসূল, সাহাবারা, তাবেঈন, ইমামরা তাদের হাতে
এসব পড়েছেন???
ঠিক আছে! এমন কোন
হাদিস দেখাও যেখানে এসব পড়ার কথা বলা আছে?
ঠিক আছে! যদি আপনি
মুসলিম হন, তাহলে আপনার হাতে কেন এমন এক জিনিষ পড়ছেন যাকে রসূল(সঃ) শিরক বলেছেন আর পড়নেওয়ালাকে
মুশরিক বলেছেন।
প্রত্যেক বিষয়ের উপর হিসাব দিতে হবে। সুতরাং আপনি
যদি এমনি এমনিও এসব পড়েন তাহলেও সেটা কুফুরীতে পড়ে।
সুতরাং, শরীরে যেকোন
অংগে, বাড়িতে,
গাড়িতে, দোকানে প্রতিষ্ঠানে যেকোন জাগায়- বরকতের আশায় সুতা, তাগা, বালা,
ব্রেস্লেট, ইলিংস, আজমিরী সুতা, রাবারের ব্যান্ড, পাথর, তাবিয-কড়ি, কবচ ইত্যাদি ব্যবহার করা শিরক। সুতরাং নিজে সাবধান হোন
অন্যকে সাবধান করুন।
কেননা আল্লাহ- শিরক গুনাহ কোনদিন
ক্ষমা করেন না।