সুদী‬ ‪‎ব্যাংকে‬ ‪‎চাকুরী


▒ _______ সুদী‬ ব্যাংকে‬ ‪‎চাকুরী‬ _______▒
একটি জটিল তাকওয়া ভিত্তিক পর্যালোচনা
********************************
বিষয়টা ধাপে ধাপে বোঝার চেষ্টা করিঃ

♥প্রথমত, সুদী ব্যাংকের প্রাথমিক আয় হয়ই সুদ থেকে স্পষ্ট সুদের টাকা থেকে অর্থাৎ তাদের কর্ম সুদী কারবার নিয়ে। আর আল্লাহ তা'আলা সুরা বাকরার »২৭৫« এ সুদকে হারাম বলে দিয়েছেন।
ঐ আয়াত পড়লে দেখবেন » সুদ হারাম যদিও অনেকে সেটা ব্যবসা বা হাতের কামাই বলে সাফাই গায়।
এখন প্রশ্ন হলঃ ◄

 "আমি সুদ তো খাই না আমি নিজের কামাই হালাল করে খাই?"► এ প্রশ্ন করার কোন অবকাশ আছে কি না??

সহীহ মুসলিম এর হাদিস দেখিঃ
▓ রসুল(সঃ) বলেন, সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক, সুদের সাক্ষীদের সকলকেই লানত করেছেন এরা সবাই সমান।▓ এর মানে এরা সবাই জাহান্নামে যাবে এটা স্পষ্ট।

তাহলে যে ব্যাখ্যা সেটা হলঃ

▓ আপনি সুদী ব্যাংকের জন্য ‪#‎সফটোয়্যার‬ তৈরি করছেন, ‪#‎ডাটাবেজ‬ বানাচ্ছেন, ঐ সুদী ব্যাংকে ‪#‎দারোয়ানের‬ চাকুরী করছেন, ‪#‎সিকিউরিটির‬ চাকুরী করছেন, ‪#‎নেটওয়ার্ক‬ ‪#‎ম্যানেজার‬ হিসেবে কাজ করছেন, এমকনি ‪#‎ড্রাইভার‬ হিসেবে আছেন ... এমন করে যতই সুদী ব্যাংক এর ‪#‎তত্ত্বাবধানে‬ কাজে আছেন ও তার দ্বারা ‪#‎আয়‬ করছেন,
------------------------ » এ সবই ‪#‎হারাম‬ এবং ‪#‎লানাত‬ যোগ্য।

*********************************************** 

 দ্বিত্বীয়ত, এবার প্রশ্ন হলঃ 
◄আমি ‪‎ইসলামী‬ ব্যাংকে চাকুরী করি এটা তো হালাল??►

#‎উঃ‬ হল না এটাও হালাল না কারন এ দেশি অধিকাংশ ইসলামি ব্যাংক সুদের উপরেই চলে যদিও তারা এটার নাম বিকৃত করে মানুষের কাছে উপস্থাপন করে।
#‎দেখুনঃ‬ সাধারণ ব্যাংক যাকে ‪#‎সুদ‬ বলে ইসলামি ব্যাংক তাকেই বলে ‪#‎মুদারাবা‬ বা প্রফিট শেয়ারিং। অর্থাৎ আপনার টাকা খাটিয়ে ব্যাংক যদি প্রফিট করে তাহলে আপনি তার ভাগ পাবেন, কিন্তু লস করলে আপনি কিছু পাবেন না। কিন্তু আপনি যদি ব্যাংকের টাকা নিয়ে লস করেন তাহলে ব্যাংক আপনার এই লস শেয়ার করবে না। তাহলে এটা ব্যবসা হলো কীভাবে? অর্থাৎ সবই ‪#‎এক‬, শুধু নামগুলো ‪#‎আরবি‬
************************************************
▒ » সুতরাং আয় করতে হবে ১০ বার চিন্তা করে যে আমি হালাল করছি কি না.। হোক সেটা একটা সুদী ব্যাংকের ওয়েবসাইট তৈরি করে বা এর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজে সহয়তা করে।

কারন সুদের ৭০ ‪‎গুনাহ আছে এর সবচেয়ে ‪#‎নিম্নতম‬ গুনাহ হলঃ ‪‎মায়ের‬ সাথে ‪‎যিনা‬ করা (ইবনে মাজাহ ) সুদের এক ‪‎পয়সা‬ ইসলামের দৃষ্টিতে ৩৬ বার ব্যাভিচার এর চেয়েও বেশী। (ইবনে মাজাহ, বায়হাকী) আর এছাড়া হারাম রিজিক এর কারনে আপনার সব আমাল নষ্ট হবে এটা তো আছেই।
আল্লাহ আমাদের তাকওয়ার ভিত্তিতে সুদ থেকে বেচে থাকার তাওফীক ও হালাল রিজিক এর ব্যাবস্থা করে দিন আমীন।

3 মন্তব্যসমূহ

  1. সুদের সাথে সাত/আট ব্যাক্তি জান্নাতে যাবে না, এইটার দলিল টা একটু দিবেন না, ভাই ?

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. ইন শা আল্লাহ যদি দালীল থাকে তাহলে দেব। আপনার কাছে থাকলে একটূ কমেন্টে দিলে আমি পোষ্ট এ দিয়ে দিতাম

      মুছুন
নবীনতর পূর্বতন