ক্ষুদ্রত্বঃ HOW INSIGNIFICANT WE ARE?

১. এটাই আমাদের পৃথীবি। যেখানে আপনি বাস করেন একটা দেশের ক্ষুদ্র এলাকায় ছোট্ট একটা বাসায়    

২. আর এটা হল আমাদের সৌরজগৎ। আশে পাশের প্রতিবেশিদের দেখা যাচ্ছে। সবাই কাছেই !!


৩. এটা হল লার্জ স্কেলে চাঁদ ও পৃথীবির মধ্যে আপাত দুরুত্ব। বেশী দূর মনে হচ্ছে না, তাই না??  


৪. আবার ভেবে দেখুন তো!!!  ঐ মধ্যের দূরুত্বে আপনি প্রায় সবগুলো গ্রহকে একসাথে করে রাখতে পারবেন... অবাক!!


৫. আচ্ছা!! এবার গ্রহ নিয়ে কিছু বলা যাক! জুপিটারের মধ্যে ঐ ছোট্ট সবুজ এলাকাটি হল দক্ষিণ আমেরিকা


৬. হুম!! একটা শনি গ্রহের রিংয়েই পুরো ছয়টা পৃথীবি এটে যায় ...   


৭. আচ্ছা যদি শনি গ্রহের মত আমাদের পৃথিবীতে একটা রিং থাকতো? তাহলে সেটা কেমন দেখাতো ...  

 ৮. সর্বপ্রথম ২০১৪ তে মাত্র যে ধুমকেতূতে একটা প্রোব ল্যান্ড করল সেটার সাইজ দেখা যাক!! এটাকে লস এঞ্জেলস এর সাথে তুলনা করা হচ্ছে!!  

 ৯. :) কিন্তু! সূর্যের কাছে ঐ সাইজ কিছুই না !!!! শুধু একবার দেখুন


১০. এই হল চাঁদ থেকে আপনার পৃথিবী ...   



১১. আর এই হল মঙ্গল থেকে আপনার পৃথিবী ... LOL  


১২. ঐ যে !!! শনির বলয়ের ঠিক নিচে আমাদের পৃথিবী ...    


১৩. এ হল আপনি। নেপচুন গ্রহ থেকে কিছুটা দূরে ...উম !! আনুমানিক ৪ বিলিয়ন মাইল আর কি!   


১৪. এক ধাপ পিছনে যাই। এটা হল সূর্যের তুলনায় পৃথিবীর আয়তন ... অস্বাভাবিক তাই না?   


১৫. এটা হল সেই একই সূর্য ... মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠ থেকে     


১৬. এখনো কিছুই দেখা হয় নি। আমরা মোটামুটিভাবেই জানি যে, পৃথিবীর প্রত্যেক সৈকতে যে পরিমাণ বালি আছে তার চাইতেও বেশি তারা এই মহাবিশ্বে রয়েছে ... 


১৭. এর মানে, এই মহাবিশ্বে আমাদের হলুদ সূর্যের চাইতেও অনেক অনেক অনেক বড় সূর্য আছে !! একবার ক্যানিস মেজরিস এর সাথে ঐ ছোট্ট বিন্দু (সূর্যের) আয়তন তুলনা করে ভাবুনতো  (মনে হয় সূর্য কতকাল কিছুই খায় নাই)


১৮. আবার দেখা যাকঃ আমাদের জানা সবচেয়ে বড় নক্ষত্র VY Canis Majoris সূর্যের তুলনায় ১০০০০০০০০০ গুন বড়!!  WOW!


১৯. কিন্তু!!!!! এগুলোর কোন কিছুর সাইজ-ই একটা গ্যালাক্সির তুলনায় কিছুই না ... আপনি যদি সূর্যকে একটা শ্বেত রক্ত কণিকার সাইজে মনে করেন আর ঐ একই স্কেলে MILKY WAY গ্যালাক্সিকে ছোট করেন তারপরেও দেখবেন মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সিটা পুরো আমেরিকা মহাদেশের সমান হয়ে আছে!!  আপনার যদি মনে হয় বিশালতার শেষ এখানেই তাহলে ভুল ...


২০. এর কারণ, মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সিটা অনেক অনেক বড়, আর আপনি ঐ ছোট একটা মার্ক করা কোনে থাকেন...    


২১. আর আপনি রাতের আকাশে যে তারাগুলো দেখেন সেগুলো মূলত ঐ ছোট হলুদ গোলের মাঝে থাকে


২২. কিন্তু আফসোস!! আমাদের পুরো গ্যালাক্সিটা অন্যসব গ্যালাক্সির তুলনায় একটা ছুঁচোর মতছবিতে মিল্কি ওয়ে আর IC 1011 এর মধ্যে সাইজ ব্যবধান দেখানো হল। IC 1011 ক্লাস্টারটা পৃথিবী থেকে ৩৫০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে(একটু ভেবে দেখুন কি জিনিষ আছে ঐ ক্লাস্টারে)  


২৩. আরো বড় চিন্তা করা যাক! শুধুমাত্র হাবল টেলিস্কোপের তোলা এই ছবিতে যত বিন্দু দেখা যাচ্ছে সবই এক একটা গ্যালাক্সি- হাজার হাজার গ্যালাক্সি, লক্ষ লক্ষ তারা, তাদের প্রত্যকেরই নিজস্ব সোলার সিস্টেম আর তাতে আছে অনেক অনেক গ্রহ ... 


২৪. এটা হল UDF 423 গ্যালাক্সি। এই গ্যালাক্সিটা ১০ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে। যখন আপনি এই ছবিটার দিকে তাকাবেন তখন মনে রাখবেন আপনি ঐ গ্যালাক্সিটার ১০ বিলিয়ন বছর পূর্বের অবস্থা দেখছেন ... (বেচারা এখন হয়ত আর নেই)


২৫. একটা কথা মনে রাখবেন, এই ছবিটা হল মহাবিশ্বের অনেক অনেক ছোট একটা অংশ, রাতের আকাশে আপনি যা দেখেন তারই একটা ক্ষুদ্র অংশের Magnifying করা হলঃ  


২৬. আচ্ছা! আপনি কি জানেন, অনেকের ধারনা মতে আমাদের মহাবিশ্বে অনেক ব্লাক হোল আছে?? একটা ব্লাক হোল এর সাইজ কতবড় হতে পারে তার ধারনা দেখা হলঃ
 ছোট বিন্দুটা পৃথিবীর অরবিট আর একটু বড়টা নেপচুনের অরবিট ...


যদি আপনার এসব দেখে মন খারাপ হয় বা মনে হয় যে শুধু শুধু এসব দেখে সময় নষ্ট করছি ... এর চাইতে মুভি দেখা ভালো তাহলে আবার দেখুন এটাই আপনার বিশাল পৃথীবি যেখানে আপনি এখন দাঁড়িয়ে- শুয়ে-বসে আছেন।


আপনার সোলার সিস্টেমটা (সৌরজগৎ) যদি একটু ছোট করেন তাহলে অনেকটা এরকম দেখায়ঃ  আমরা মাত্র আমাদের ভ্রমণ শুরু করলাম


আরো একটু ছোট করি, ঐ যে আমাদের প্রতিবেশী সৌর বন্ধুরা ...


আরো আরো ছোট করি, ঐ লালের মধ্যেই আমাদের সবগুলো সৌর গুচ্ছ একসাথে গুটি সুটি হয়ে আছে


আরো ছোট করে যেতেই থাকুন ... ... এখন আমরা লোকাল গ্যালাক্টিক গ্রুপ দেখতে পাচ্ছি। ঐ যে আমাদের মিল্কি ওয়ে ...


এভাবে ছোট করতে করতে এক সময় VIRGO সুপার ক্লাস্টার পেয়ে যাবো ... অনেক জটিল হচ্ছে তাই না? 


আরো ছোট করলে লোকাল সুপার ক্লাস্টার দেখবো ... ঐ যে আমাদের প্রতাপশালী VIRGO বাবাজী ঐ সুক্ষ একটা লাল বিন্দুতে ...    


আর সর্বশেষ এই হল আমাদের পর্যবেক্ষন করা সবচেয়ে দূরবর্তী মহাবিশ্বের অবস্থা। ঐ ছোট একটা লাল বিন্দুতে লোকাল ক্লাস্টার সেখানে এক পরমানু কয়েক বিলিয়ন ভাগের এক ভাগে জায়গায় আমাদের বাস ...    

মহাবিশ্বের মাত্র ২% (সাধারণ হিসাব মতে) আমরা আজ দেখতে পাচ্ছি এর বাইরে দেখা আমাদের বর্তমান টেকনোলজি দ্বারা সম্ভব না ... শুধু ভেবে দেখুন বাকি ৯৮% কি থাকতে পারে? যেখানে সাত আসমান রয়েছে এর মানে আরো সাতটি মহাবিশ্ব এ এক গননায় অসীম পরিমান জায়গা যেখানে কি যে আছে আমরা কল্পনাও করতে পারি না। 

সর্বশেষ বলতে হয়ঃ 
মহান আল্লাহ সুবহানা হুয়া তা'আলা ছয় দিনে সমস্ত আসমান (৭টি) ও জমিন (৭টি) সৃষ্টি করেছেন। যেখানে একটি আসমান থেকে অপরটির দুরুত্ব ৫০০ বছরের পথ আবার এক আসমান থেকে জমিনের দুরুত্ব ৫০০ বছরের পথ (৫০০ বছর একটা বিশেষ মাপ অর্থে) অপরদিকে এই সাত আসমান জমিনে অসংখ্য মাখলুক রয়েছে ... এই আসমান ও জমিনের সাথে কুরসীর বিশালতার তুলনা হল একটি ঢালের মধ্যে ছুড়ে দেয়া ৭ টা মুদ্রার মত। আর আরশের মধ্যে কুরসীর অবস্থান হল, ভূপৃষ্ঠের কোন খোলা ময়দানে পড়ে থাকে একটা আংটির মত!!!!! 
আর সপ্তম আসমান আর আরশের মধ্যে রয়েছে সাগর... যার দুরুত্ব বা উপরিভাগ ও তলদেশের মাঝে গভীরতা হল, আসমান জমীনের দুরুত্বের মত বিশাল !!! আর এর উপরে আল্লাহ সমুন্নত রয়েছেন।
(তাফসীরে ত্বাবারী, বায়হাক্বীঃ ৫১০, দারীমিঃ ২৬, সহীহ খুযাইমাঃ ৫৯৪, ত্বাবরানীঃ ৮৯৯৭, আবু দাউদঃ ৪৭২৩, মুসনাদে আহমাঃ ১/২০৬,২০৭)
    
এখানে থেকেই বলা যায়ঃ কি মহান আমাদের রব !!! আর কতই না ক্ষুদ্র আমরা !!    

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন