শাসক/সরকার এর সাথে মুসলিম জনগনের সম্পর্ক


শাসক/সরকার এর প্রতি বিদ্রোহ করা যাবে না
 http://abrahametry.blogspot.com/2015/12/blog-post.html
শাসক/ সরকার এর প্রতি বিদ্রোহ করা যাবে না- এটাই ইসলাম শিক্ষা দেয়।
কিয়ামাতের আগে ভালো মন্দ দুই শাসক দল আসবে। 
এটা ঐ জাতির কর্মের উপর নির্ভর কর। জাতি ভালো হলে ভালো শাসক আসবে, জাতি খারাপ হলে খারাপ শাসক আসবে।
কিন্তু যতক্ষননা ঐ সরকার/শাসক সলাত/নামাজ আদায়ে বাধা না দিচ্ছে ততক্ষন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধাচরন করা যাবে না- আনুগত্য করতে হবে ... ... প্রশ্ন হল কি ধরনের আনুগত্য?
*****************************************************
১. কোন শিরকি আনুগত্য করা যাবে না (যেমনঃ অগ্নিশিখায় সামনে সম্মানে দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন, জনগন সকল ক্ষমতার উৎস মনে করা ইত্যাদি)
২. কোন কুফুরী আদেশ মানা যাবে না (যেমনঃ গনতন্ত্র মানা, জাতীয়তাবাদ মানা, আল্লাহর আইন ছাড়া অন্য আইন ভালো মনে করা ইত্যাদি)
৩. হারাম আদেশ মানা যাবে না (যেমনঃ জাতীয় দিবস পালন, মিনারে ফুল দেয়া ইত্যাদি)
******************************************************
 এসব ক্ষেত্রে জনগনের কি করা উচিতঃ
১. জনগন নিজেদের মত আল্লাহর আদেশ মেনে চলবে এবং সরকার/শাসকের কথা এড়িয়ে যাবে  
২. সম্ভব হলে শাসককে উপদেশ দিয়ে বিষয়টা বুঝাতে হবে
৩. যতসম্ভব আশেপাশের সবাইকে সচেতন করতে হবে যে কোনটা শিরক-কুফুরি-হারম
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যেহেতু শাসক/সরকার খারাপ সুতরাং যদি তারা জনগনের কোন অধিকার নষ্ট করে বা দুর্নীতি করে মেরে খায় তাহলে কি করা উচিতঃ
১. যথাসম্ভব হালাল আইনের মাধ্যমে অধিকার ফিরিয়ে নেয়া।
২. অবশ্যই আল্লহর নিকট উত্তম প্রতিদান চেয়ে নেয়াকেননা শাসকের পাপ শাসকের ঘাড়ে আর জনগনের পাপ জনগনের ঘাড়ে।

মুসলিমদের মাথায় রাখতে হবে যে তারা মধ্যমপন্থী জাতি। সর্বদা চেষ্টা করা, আল্লাহর নিকট সাহায্য চাওয়ার এবং ফিতনা থেকে নিজেকে দূরে রাখা।
নবীনতর পূর্বতন