এলিয়েনঃ ARE WE ALONE? » » পর্বঃ ১



এলিয়েনঃ ARE WE ALONE? » » পর্বঃ ১
পুরো মহাবিশ্বে আমরা (মানবজাতিই) কি একা না কি আরো কোন সৃষ্টি অন্য কোন গ্রহে বা মহাবিশ্বে আছে ... এসব প্রশ্নের উত্তর গত হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে। একটু পিছনের ইতিহাস ফিরে দেখলে কিছু মজার ও রহস্যময় বিষয় ফুটে উঠবে। আমাদের প্রথমে কিছু শব্দ ও কিছু ঘটনাপ্রবাহ বুঝতে হবে আসলে আমাদের এই পৃথীবিতে ও এর বাইরে আসমানে কি হচ্ছে।
প্রথমত, সৃষ্টির প্রথমে কিছুই ছিল না (এই শুন্য বিষয়টা বুঝা অনেক কষ্ট)। আমাদ্র রব (আল্লাহ) “হও” বললেন এতে সব হয়ে গেল। আগেই জানিয়ে রাখি, সহীহ দালীল অনুযায়ী প্রথম বস্তু সৃষ্টি হয়েছেঃ কলম। এভাবে আরশ, আসমান, জমিন তৈরি হয়েছে। এগুলোকে একত্রে ‘আলাম বলা হয়।
দ্বিতীয়ত, প্রথম প্রজাতি হিসেবে নূর থেকে মালাইকা (ফিরিশতা) সৃষ্টি করা হল। এরা অনেক শক্তিধর। এরই সাথে স্পেশাল ধোয়াবিহীন আগুন থেকে “জ্বীন” সৃষ্টি করা হল, এরাও শক্তিশালী ও অদৃশ্য। সর্বশেষ মানবজাতি এবং অন্যান্য প্রানী তৈরি করে আল্লাহ আমাদেরকে সবার উপরে মর্যাদা দিলেন।
তৃতীয়ত, মানব জাতির পৃথিবীতে বসবাসের ইতিহাসের শুরু থেকে আসমান থেকে নিয়মিত মালাইকা আসতো (আল্লাহর হুকুমে) – মানুষকে শিক্ষা দিত – সাহায্য করত। একই সাথে জ্বীন জাতির (ইবলীশ, ইফরীত) একটা অংশ মানুষকে খারাপ পথে পরিচালিত করত- অনিষ্ট করত। মজার বিষয় হল, যেহেতু জ্বীন জাতিকে কোন মানুষ আসল রূপে দেখেনি তাই তারা রুপ ধারন করে মানুষের সামনে অথবা মনের মধ্যে অথবা স্বপ্নের মধ্যে ইচ্ছামত উপস্থিত হয়ে তাদের প্রতারণা করত। এভাবে অসংখ্য জাতি তাদের প্ররোচনায় বিভিন্ন শিরক কুফর ও ভুল জ্ঞান লাভ করেছিল।

একটা উদা দিলে বুঝা যাবে, যখন মূসা (আঃ) চল্লিশ দিনের জন্য তাওরাত আনতে গেলেন তখন সামীরির প্ররোচনায় (শয়তানের ওয়াস ওয়াসা ও) হিজরত করা ইয়াহুদী জাতিরা স্বর্ন দিয়ে একটা গরু বানিয়ে সেই গরু পূজা শুরু করল। অথচ সেটা ছিল একটা FAKE অবস্থা।

এভাবে এক এক জাতির কাছে শয়তান বিভিন্ন রূপে শিরক ও ভুল জ্ঞান আস্তে আস্তে প্রবেশ করিয়েছে। কোন জাতি গরু পূজা করে, কোন জাতি সাপ, কোন জাতি বানর পূজা করে, কোন জাতি বিড়াল, কেউ গাছকে রব মনে করে আবার কেউ হয়ত সূর্যকে!!
শয়তান ও তার দলবল এক এক স্থানের মানুষকে খুব ভালো করে পর্যবেক্ষন করেই তাদের নিজ জাতির উপর ঐ সব কৌশল প্রয়োগ করেছিল যেটা ঐ জাতির উপর খাটবে। আর এভাবেই সবাই নিজ নিজ ধর্মের উপর অটল থাকল (অথচ ধর্ম শুধু একটা)। এটা এক বিশাল ইতিহাস যে যখন জ্বীন জাতিরা সুলাইমান (আঃ) এর নির্দেশে - বিশাল ও অসম্ভব কিছু করে দিত তখন সেটা ছিল সবার নিকট একটা মু’জিজাআর কয়েক হাজার বছর পরে যখন মানুষ এসব নিদর্শন দেখছে তখন আমাদের কাছে এগুলো হলঃ  ALIEN প্রজাতিরা অন্য গ্রহ থেকে এসে করে দিয়ে গেছে (LOL). 
একটা উক্তি অনেকটা এরকম যে, 

যেহেতু তুমি আজ বুঝতে পারছো না যে, কিভাবে হাজার বছর আগে কোন প্রযুক্তি ছাড়াই পিরামিড বা অমুক সভ্যতা গড়ে উঠেছে। তার মানে এই নয় সেগুলো ALIEN রা করে দিয়ে গেছে। বরং এটা তোমার জ্ঞানের দুর্বলতা।                

এভাবে এখনো UFO, Alien, ESP, Spiritual Science, Telepathy, Quantum method, alchemy, Philosopher stone, Dark arts magic, elixir of life, Homunculus  ইত্যাদির ব্যাপারে আসল জ্ঞান না থাকায় আমাদের মাঝে ভুল জ্ঞান প্রবেশ করাচ্ছে। এরকম অসংখ্য ভুল জ্ঞান আগেও ছিল এখনো আছে আরো থাকবে। আর শয়তান এভাবেই ইতিহাস বিকৃত করে আমাদের বিজ্ঞানী- সাহিত্যিক- শিক্ষাবিদ- বুদ্ধিজীবি ও অশিক্ষিত মানুষদের প্রতারিত করছে। 


চলবে ...  পর্বঃ ২

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন