▼▲ শিরক- ছবি
ও মুর্তি▼▲
একটা বিশেষ হারাম কাজ আমরা জানা-অজানায় আমরা করে থাকি।
আর তা হলোঃ
“ছবি-মুর্তি
রাখা, প্রানীর ছবি আঁকা”
মহান আল্লাহ বলেনঃ
“মুশ্রিকরা বলছেঃ তোমরা তোমাদের উপাস্যদেরকে ত্যাগ করো না এবং ত্যাগ করো না ওয়াদ, সূয়া, ইয়াগুছ,
ইয়াউক ও নসরকে। অথচ তারা অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে। অতএব আপনি জালেমদের
পথভ্রষ্টতাই বাড়িয়ে দিন।” (সুরা নুহঃ ২৩-২৪)
ঐ নাম গুলো পুর্বের নেকবান্দাদের নাম যাদের মুর্তি
বানিয়ে পুজা করা হতো। আসুন একটি গল্পের মাধ্যমে জানি কিভাবে মুর্তিপুজার শিরক
এসেছে আমাদের এই দুনিয়ায়ঃ
“ওয়াদ, সূয়া, ইয়াগুছ,
ইয়াউক ও নসরকে এরা ছিলেন নুহ(আঃ) এর পুর্বের নেকবান্দারা। তাদের সততার জন্য লোকজন তাদের ভালোবাসত। একদিন তারা মারা
গেল তাদের কবর দেয়া হলো। সবাই খুব মন খারাপ আর বিষন্ন
তাদের হারিয়ে। তাই হঠাৎ ইবলীস(শয়তান) এসে ঐ
গোত্রের লোকদের বললঃ ‘তোমরা কি তোমাদের এই নেক বান্দাদের স্মরন
করতে চাও না? এক কাজ কর আমি ওদের চেহারার মুর্তি
স্মৃতিস্তম্ভে বানিয়ে দেই তোমরা সময়ে সময়ে গিয়ে সেখানে তাদের দেখে আসবে।’ এরপর সবাই রাজি হল। আবার বছর
খানেক পর ঈবলীস এসে কুমন্ত্রনা দিয়ে বললঃ ‘আরে তোমরা এত কষ্ট করে এতদুরে ওদের স্মৃতিস্তম্ভে যাও!! বরং তোমরা তোমাদের ঘরে ওদের মতো মুর্তি
তৈরি করে স্মরন করলেই হল।’ সবাই তো মহাখুশিতে ঘরে ঘরে মুর্তি বানিয়ে সুবিধা মতো করে মৃতদের স্মরন
করে। এবার কয়েক প্রজম্ম পর যখন সবাই ভুলে গেল কি কারনে ঐ মুর্তি রাখা হত তাই আবার
ইবলীস এসে ঐ লোকদের সন্তানদের কাছে বললঃ ‘হায়! হায়! তোমরা কি কর! তোমাদের মা-বাবা,
পুর্বপুরুষরা তো এদের কাছে রিযিক চাইতো আর ওদের
কাছে মাথা নোয়াতো (সিজদাহ)।’ তখন ঐ জাহেল লোকেরা শায়তান এর
ধোকায় পড়ে ঐ নেকবান্দা দের পুজা করা শুরু করল। আর আল্লাহ তা’আলা তাঁর রসুল নুহ(আঃ) কে
পাঠালেন। ” (ফাতহুল বারী-পৃঃ ৬-৭,আল্-বিদায়া ওয়ান
নিহায়া-প্রথম খন্ড)
এটা ছিল পুর্বের মুর্তি পুজার
কাহিনী।
এবার আসুন আল্লাহ আবার কি বলেনঃ
অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন
করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও
করে।
রসুল(সঃ) বলেনঃ
“...আমার উম্মাতের একটি
দল মুশরিকদের সাথে মিলে যাবে ও মুর্তিপূজা করবে...”
বর্তমান
১. মাজার-কবর উঁচু করে
২. মৃতদের জন্য মুর্তি করে ৩. মৃতদের স্মারক ছবি এঁকে ৪. মৃতদের নামে স্মৃতিসৌধ করে ৫. জায়গায় জায়গায় ছোটছোট স্মৃতিসৌধ/কার্টুন ও মুর্তি করে
৬. বিভিন্ন স্থানে ও ঘরে, অফিসে-বাসায় মৃতদের ছবি
টাঙ্গিয়ে ৭. স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ৮. প্রানী ও
কার্টুনের ছবি এঁকে ৯. টাকায়, ডাকটিকিটে মানুষ ও প্রানীর ছবি দিয়ে
১০. ঘরে
তারকা-খেলোয়ার ও প্রানীর ছবি পোষ্টার লাগিয়ে ১১. মৃতদের শ্রদ্ধা
দেখাতে গিয়ে মাথা নত করে নীরবতা পালন করে। ১২. মৃতদের কাছে নানাভাবে
নিজেদের অক্ষমতা প্রকাশ করতে গিয়েঃ ‘হে! মুক্তিযুদ্ধের শহিদেরা! আমাদের ক্ষমা কর আমারা তোমাদের হত্যা প্রতিশোধ
নিতে এখন ব্যার্থ......ইত্যদি শিরকি কবিতা’ পড়ে আমরা নিজের অজান্তেই মুর্তিপূজায় ধীরে ধীরে লিপ্ত হচ্ছি।
হয়ত একদিন এই জাহেল সমাজের সন্তানেরা আরো জাহেলিয়্যাতের
শিকার হয়ে সরাসরি পুজা শুরু করবে।
দয়া করে ছবি ও মুর্তির ব্যাপারে সাবধান হন। নিজ ক্ষমতার
মধ্যে সবগুলো ছবি ও মুর্তি আজই ধ্বংস্ করে দিন শিরক এর হাত থেকে আপনি ও আপনার প্রজম্মকে
বাচাঁন। কারন আল্লাহ বলেনঃ
“নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক
তাঁর সাথে শরীক করে।”(সুরা নিসাঃ৪৮)