ফরজ গোসল এর সহীহ নিয়ম
আমাদের অনেক মুসলিম ভাই বোনদের ফরজ গোসল না জানার কারনে অনেক সালাত সহ আমাল কবুল হয় না তাই আসুন জেনে মানি,ফরজ গোসল এর সঠিক নিয়ম না জানার কারলে অসংখ্য মুসলিম ভাই-বোনের সালাত সহ নানা আমাল কবুল হয় না যেটা ঈমানের ক্ষেত্রে চরম ভয়ানক ব্যাপার।
ü যেসব কারনে গোসল ফরজ হয়ঃ
১. সপ্নদোষ বা উত্তেজনাবশত
বীর্যপাত হলে
২. নারী-পুরুষের মিলনে (সহবাসে বীর্যপাত হোক আর নাই হোক)
৩. মেয়েদের হায়েয-নিফাস শেষ
হলে
৪. কেউ ইসলাম গ্রহন
করলে
Ø ফরজ গোসল এর সঠিক নিয়মঃ
১. গোসলের জন্য মনে মনে নিয়্যাত করতে
হবে। বাড়তি মুখে কোন আরাবী শব্দ উচ্চারন করে নিয়্যাত করা বিদ’আত
২. প্রথমে দুই হাত কব্জী পর্যন্ত ৩ বার ধুতে হবে।
৩. এর পরে ডান হাতে পানি নিয়ে বাম হাত
দিয়ে লজ্জাস্থান এবং তার আশপাশ ভালো করে ধুতে হবে। শরীরে অন্য কোন জায়গায়
বীর্য বা নাপাকি লেগে থাকলে সেটাও ধুতে হবে।
৪. এবার বাম হাতকে ধুয়ে
ফেলতে হবে।
৫. এবার ওজুর নিয়মের মত মত ওজু করতে হবে
কিন্তু দুই পা ধুয়া যাবে
না।
৬. ওজু শেষে মাথায় তিনবার পানি ঢালতে হবে।
৭. এবার সমস্ত শরীর ধোয়ার জন্য
প্রথমে ৩ বার ডানে তারপরে ৩ বার বামে পানি ঢেলে ভালোভাবে কচলিয়ে ডলে ধুতে হবে যেন শরীরের কোন অংশই বা লোম শুকনা না থাকে। নাভী-বগল কুচকিতে ভালোভাবে
পানি দিয়ে ধুতে হবে।
৮. সবার শেষে একটু অন্য জাগায় সরে গিয়ে দুই পা ৩ বার ভালোভাবে ধুতে
হবে।
vমনে
রাখতে হবেঃ
১. পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল
ভালোভাবে ভিজাতে হবে।
২. মহিলাদের শুধু চুল
ভেজানোই যথেষ্ট।
৩. এ নিয়মে গোসলের পরে নতুন
করে ওজুর দরকার নেই যদি ওজু ভেঙ্গে না যায়।
আল্লাহ
আমাদের সঠিক ভাবে কুর’আন ও সহীহ সুন্নাহ মেনে চলার তাওফীক দিন এবং পুর্বের না জেনে ভুল গুলোকে
ক্ষমা করুন আমিন।
thanx posta seher kora jinno....👍👍👍
উত্তরমুছুন