এলিয়েনঃ
ARE WE ALONE? » » পর্বঃ
৩
মুলত
এলিয়েন হল সেই প্রানী যেটা মানুষের পরিচিতির বাইরে থেকে হঠাৎ পরিচিতি লাভ করেছে। পানির
অনেক গভীরে একটা প্রানী যদি কোটি কোটি বছর পরে মানুষের সামনে উপস্থিত হয় সেটাও
একটা এলিয়েন। এলিয়েন শুধু অন্যগ্রহের হতে হবে এমনটি নয়।
কিন্তু
মুখ্য বিষয় হলঃ আসলে এলিয়েন কি আছে কি না?
প্রথমে
কিছু ক্বুর’আনের আয়াত দেখে নেইঃ
১. সূরা
ফাতিহার দ্বীতিয় আয়াতঃ
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
এখানে একটা শব্দ রয়েছে “الْعَالَمِينَ” যার ব্যাখ্যা হলঃ “’আলাম” শব্দটি একটি পুরুষবাচক শব্দ যার অর্থঃ
“বিশ্বজগৎ-অথবা আল্লাহ ব্যতিত সব কিছুই ‘আলাম”। এর বহুবচন “’আলামীন” অর্থাৎ অনেকগুলো বিশ্বজগত।
২. সূরা শুরার- ২৯ আয়াতেঃ
وَمِنْ آيَاتِهِ خَلْقُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَثَّ فِيهِمَا مِن دَابَّةٍ ۚ وَهُوَ عَلَىٰ جَمْعِهِمْ إِذَا يَشَاءُ قَدِيرٌ
অর্থঃ তাঁর এক নিদর্শন নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃষ্টি এবং এতদুভয়ের
মধ্যে তিনি যেসব জীব-জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি যখন ইচ্ছা এগুলোকে একত্রিত করতে
সক্ষম।
খেয়াল
করুন,
আয়াতে
একাধিক আসমান ও এক জমিনের কথা বলার পর বলা হয়েছে “এই দুইয়ের মাঝে” অর্থাৎ
যত আসমান ও জমিন রয়েছে এদের মাঝে জীব-জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন। এবং আল্লাহ ইচ্ছা করলেই
এগুলোকে এক করে দিতে পারেন।!!!!
এছাড়া
আমরা বিভিন্ন আয়াতে- ও সহীহ হাদিসে জানতে পারি যে, আসমান এর সংখ্যাঃ ৭ টি। এগুলো স্তরে
স্তরে এবং এগুলো একটি বিন্দু থেকে মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে সৃষ্টি এবং কিয়ামাতের সময়
এই আসমানগুলোকে গুটিয়ে (কাগজ যেভাবে গুটানো হয়) নেয়া হবে সর্বশেষ এই পুরো সিস্টেম
উল্টিয়ে আবারো নতুন দুনিয়া তৈরি করা হবে। এদের মধ্যে এটাও জানা গেছে যে, প্রতি
আসমানে মালাইকারা থাকে। শুধু প্রথম আসমানে মানব জাতির বসবাস আর এরাই (মু’মিনরা) সৃষ্টির
সেরা।
কিন্তু
এই সিস্টেম (৭ আসমান-জমিন, পৃথীবি, মানব-জ্বীন-মালাইকা জাতি, সকল ইতিহাস, কিয়ামাত,
হাশার) এসবই অনেক এর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট ও নির্ধারিত বিষয়মাত্র। আরো এর পরেও এমন
শক্ত দালীল রয়েছে যেটা আমাদের ধারণা পুরো পালটে দিতে সক্ষম।
চলবে
... পর্বঃ ২ || পর্বঃ ৪ (শেষ)