▲▼জুমু’আ▼▲
শুক্রবারà
মুসলিম এর জন্য একটি বিশেষ দিন। এই দিন-->
সর্বশ্রেষ্ঠ
দিন, আদমকে সৃষ্টি
করা হয়েছে,àতাকে জান্নাতে
প্রবেশ করান হয়েছে,àজান্নাত থেকে বাহির করা হয়,àএই দিনে তাকে মৃত্যু দেওয়া হয়েছে, সিংগায় ফু দেওয়া হবে এবং মহা বিপর্যয়ও (ক্বিয়ামত) ঘটবে। (মুসলিম, তাহ:মিশকাত হা:নং ১৩৫৬, আবু দাউদ,নাসাঈ,ইবনু মাজা প্রমুখের বরাতে সহীহ আত তারগীব ওয়াত তারহীব,মিশকাত আলবানী হা:নং১৩৬১)
এইদিনের কিছু কাজ করা
আমাদের জন্য জরুরী এবং ফাজীলাত পুর্ন।
আবুহুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন, “জুমার দিনে মসজিদের দরজায় ফেরেশতাগণ দাড়িয়ে যান; পর্যায়ক্রমে লেখতে থাকেন প্রথমে আগমন কারীদের ফজীলত।
সর্বপ্রথমআগমন কারী একটি উট কুরবানী করার মত সওয়াব লাভ করেন, পরের জন গরু,তারপরের জন দুম্বা,তারপরের জন মুরগী এবংতারপরের জন ডিমকুরবানী দেওয়ার মত সাওয়াব লাভ করেন।
অতপর ইমাম যখন বের হন, তখন তারা খাতা-পত্র গুটিয়ে রেখে
মনযোগ দিয়ে খুৎবা শুনেন। (বুখারী আধুনিক
প্রকাশনী হা:নং৮৭৬, মুসলিম,মিশকাত
হা:নং১৩৮৪)
জুমার সলাতে
যারা দেরী করে যায় তাদের নাম লেখা হয় না
▼দু রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ
না পড়ে মসজিদে কখনই বসা যায় না▲
(বুখারী-আধুনিক
প্রকাশনী,হা:নং৮ ৭৭,৮৭৮,১০৯২,মুস লিম)
এখানে কাবলা জুমু’আ বা চার রাকা’আত সুন্নাত পড়া
বিষয়ক কোন হাদিস নাই এটা বিদ’আত। এটা ভ্রান্ত ধারনা মাত্র। (আল-আজবিবাতুন নাফেহান,মুজ’আমুল বিদাঃ১২০,৩২৭ পৃ)
এদিন জুমু’আর আযান মাত্র একটি
(অতিরিক্ত আযান দেয়া বিদ’আত) এবং খুৎবাও একটি।
আপনার জুমু’আ বাতিল হয়ে যাবে যদিঃ
“আপনি খুৎবার সময় কথা বলেন বা আপনার সঙ্গীকে
সামান্য ‘চুপ কর!’ কথাটাও বলেন...অর্থাৎ যেকোন কথা বা অন্য কাজ করলে তার জুমু’আ বাতিল।” (বুখারীঃ৮৮১, মুসলিমঃ৮৫১)
আবেদন সকল মুসলিম এর
জন্য!
জুমু’আর দিন সুরা আল-কাহফ অবশ্যই পড়বেন। কেননাঃ
“রসুল(সঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যাক্তি জুমু’আর দিন সুরা আল-কাহফ পড়বে তার
পায়ের নিচ থেকে নূর হবে যা কিয়ামাতের
দিন খুব উজ্জ্বল হবে এবং তার পরবর্তী
জুমু’আ পর্যন্ত গুনাহ মাফ
হয়ে যাবে’”
(মুসনাদে আহমাদ, আল-তারগীব ওয়াল-তারহীবঃ১/২৯৮)
!জেনে রাখা অতি জরুরী!
জুমু’আর দিনে এমন একটি সময় আছে “আসরের পর থেকে মাগরিব এর মধ্যে”(তীরমিযি)
অথবা “ইমামের বসা থেকে সলাত শেষ করা মধ্য পর্যন্ত” (মুসলিম) যখন কোন মুসলিম বান্দা যদি সালাতে
দাঁড়িয়ে আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে আ অবশ্যই আল্লাহ তাকে দেন। কিন্তু সময়টি খুবই সংক্ষিপ্ত।
(সহিহ বুখারীঃ ৯৩৫,
মুসনাদে আহমাদ)
আসুন জেনে বুঝে সহিহ হাদিস এর উপর আমাল করে নিজেদের
জান্নাতের পথে এগিয়ে নিয়ে যাই। মনগড়া আমাল ও বিদা’আত করে জাহান্নাম ডেকে আনার কোন মানেই হয়
না!!!