WOW! I didn’t know That: বিশ্ব ইজতিমা (LOL)
টঙ্গী বিশ্ব
এজতেমা বললেই যেসব বিষয় আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে তা হলঃ
তুরাগ নদীর
পাড়, লাখ লাখ মানুষ, বেসংখ্যক টয়লেট, আখেরী মোনাজাত, স্পেশাল বয়ান ইত্যাদি।
আসুন জানা
যাক এই ইজতিমা বিষয়টা কি?
ইজতিমা
শব্দের অর্থঃ “সম্মেলন/সভা/সমাবেশ”।
কাদের
সমাবেশঃ মূলত
সবার জণ্য হলেও এটা স্পেশালভাবে
ইলিয়াসী তাবলীগ জাম’আতের একটি
সমাবেশ
প্রথম আয়োজনঃ সংক্ষিপ্ত পরিসরে ১৯৪৬ সালে রমনার কাকরাইল মাসজিদে
পুরোদমে শুরু
হয়ঃ ১৯৬৭ সাল
থেকে
স্থানঃ টংগীর তুরাগ নদীর পাড়ে।
এবার আসা যাক
এই ইজতিমা আসলে ইসলামের কিছু কি না সে ব্যাপারে।
প্রথম
উত্তরেঃ না, ইজতিমা ইসলাম তো দূরের কথা এর ধারে কাছের কিছুই
না
দ্বিতীয়ত, এই ইজতিমা নিয়ে যেসব ফালতু কথা রয়েছে তা হলঃ
১. অনেকে এর
ধারনা এজতেমাতে (যা হাজ্জ এর পর দ্বিতীয় বৃহৎ সমাবেশ) যোগদান করলে বা ঐ স্থানে
সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করলে অনেক ফায়দা হয় বিশেষ করে ২-৩ এজতেমাতে যোগদান করলেই ১
হাজ্জ এর সওয়াব পাওয়া যায়।
২. এখানে SUPER বিদ’আত হল দলবদ্ধ মুনাজাত বা জামা’আতএ
মুনাজাতঃ “আখেরী মুনাজাত”
তাছাড়া
ঐখানকার বয়ানে পীরপন্থী ও কিছু বাতিল আলেম সমাজ বিভ্রান্তিমুলক ওয়াজ দেয়। সবচেয়ে
মজার হাস্যকর ব্যাপার হল, যারা বেনামাজী – সুদখোর- হারামখোর-পীরপূজারী এরা ঐখানে এসে
আখেরী মুনাজাত করেই নাজাত পেতে চায়।
বিশ্ব ইজতিমা সম্পর্কে দাওয়াতে দাবলিগের ভয়ানক বিভ্রান্তিমূলক একটি তথ্যের স্ক্যান ছবিঃ
বিশ্ব ইজতিমা সম্পর্কে দাওয়াতে দাবলিগের ভয়ানক বিভ্রান্তিমূলক একটি তথ্যের স্ক্যান ছবিঃ
আমাদের মাথায় একটা বিষয় স্পষ্ট রাখতে হবে,
বিদা’আত এর শারীয়াতগত অর্থঃ
যা (যে কোন
আমাল) ইসলামে রসুল(সঃ) এবং তাঁর সাহাবা (রঃ)(বিশেষ করে চার খলিফার আমলে) সময়ে
সওয়াবের আশায় করা হত না বা ছিল না কিন্তু
পরবর্তিতে তা সওয়াবের আশায় পরিবর্তন বা আবিষ্কার করা হয়েছে তাই বিদ’আত।
যারা এর
পক্ষে রয়েছেন তাদের বলা হচ্ছে,
“একটি আয়াত বা হাদীস বা সাহাবাদের আমাল পেশ করুন যদি আপনি এজতেমাকে ইবাদাত গন্য করে যেতে চান।”
কেননা আল্লাহ তা’আলা
বলছেনঃ
“তোমাদের প্রমান নিয়ে আসো যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো।” (সুরা বাকরাঃ ১১১)