শিরক- আবহাওয়া, সময় ও প্রকৃতিকে গালি দেয়া

██▓▓▓▓▓██▄ শিরক- যামানা কে গালি ▄█▓▓▓▓▓██
আল্লাহ তাআলা আমাদের ও জ্বীন জাতিকে একটা কথা খুব জোর দিয়ে বলেছেন সেই সৃষ্টির শুরু থেকে যে, হে বান্দা !নিশ্চয়ই আল্লাহ শিরক ব্যতিত অন্য সকল গুনাহ  ইচ্ছা অনুযায়ী ক্ষমা করবেন, শিরককারীকে কোনদিনও ক্ষমা করবেন নাশিরক বিরাট পাপ    (সুরা নিসাঃ৪৮)
কিন্তু কিসের কি! মানুষ শয়তানের ধোকায় পরে সেই যে আদাম(আঃ) থেকে শিরক শুরু করলো এখন আর থামছেই না। এখন কথা হলো শিরক কি?
এই প্রশ্নের উত্তর আমাদের কাছে এখনো পরিষ্কার হয় নাই। যদিও আল্লাহ তাআলা বারবার নাবী-রাসুলদের মাধ্যমে আমাদের শিরক বুঝিয়েছেন...তবুও আমরা কেন জানি শিরকে ডুবে আছি।
আজ আমরা এক প্রকার শিরক সম্পর্কে জানবোঃ ▲▼▲▼▲▼

شرك শিরক এর অর্থ অংশিদার সাব্যস্ত করা,শরীক করা, কাউকে কারো সাথে মিলানো, অংশ মনে করা, কারো সাথে তুলনা করা, কাউকে অক্ষম মনে করে অন্যকে তার সাহায্যকারী মনে করা।
আমাদের প্রচলিত ধারনা অনুযায়ী আসি, শিরক হলো আল্লাহর সাথে শরিক করা বা কাউকে তার সমতুল্য মনে করা। কাউকে প্রশ্ন করে দেখবেন
   
আপনি কি আল্লাহর সাথে শিরক করেন?
সে বলবে অশম্ভব! আল্লাহর সাথে শিরক করা! তাওবা তাওবা!
তাহলে আপনি যে, মড়ার রোদ, মরার বৃষ্টি......এইটা কি বৃষ্টি হওয়ার সময়?, ধ্যাত! অসময়ে বন্যা, খরা......আল্লাহ! কি আর সময় পাইল না এই গযব দেয়ার...(নাউযুবিল্লাহ) ইত্যাদি বলে নানা রকমের গালিগালাজ দিচ্ছেন এই সময় আর প্রকৃতিকে! এটা কি শিরক নয়?
দেখুন আল্লাহ তাআলা বলছেন হাদীসে কুদুসীতেঃ
   
▓▒░আদম সন্তান আমাকে গালি দেয়! কারন সে কাল(সময়,প্রকৃতি,সৃষ্টি ইত্যাদি) কে গালি দেয়। অথচ, আমিই হচ্ছি সময়।আমিই সময়(রাতদিন),প্রকৃতি, সমস্ত সৃষ্টির পরিবর্তন করি। (বুখারীঃ ৪৭২৬,মুসলিমঃ২২৪৬)▓░▒

·        এখানে শিরক হচ্ছে দুই দিক থেকেঃ
    ১.   আপনি মনে করছেন যে রোদ, বৃষ্টি, আবহাওয়া, দুর্যোগ প্রাকৃতিক পরিবর্তন গুলো একা একাই চলছে নিজের খেয়াল খুশির মতো, আর তাদের নিয়ন্ত্রনকারী কেউ নেই তারা স্বাধীন, আর এগুলো আমাদের উপর জুলুম করছে।
এই আক্বীদা পোষন করত এবং এখনো করে হিন্দু ও অন্যান্য অমুসলিমরা। প্রাচীনকাল থেকে তারা প্রকৃতির পূজা করে আসছে, তাদের দেব-দেবীর কাছে এই সব দুর্যোগ থেকে পানাহ চাইছে। আপনিও আপনার কথার মাধ্যমে ওই একই ভ্রান্ত আক্বীদা বিশ্বাস করছেন কিন্তু নিজের অজান্তেই। কেননা আল্লাহ বলেছেনঃ
    █▄অধিকাংশ মানুষ আল্লাহর উপর ঈমান আনা সত্বেও শিরকে লিপ্ত (মুশরিক)
(সুরা ইউসুফঃ১০৬)▄█    
    ২.   দ্বিতীয়ত, আপনার এতো স্পর্ধা যে আপনি আল্লাহ সুবহানাহুয়া তাআলার সৃষ্টিকে নিয়ে তামাশা করছেন! যেখানে আল্লাহ তাআলা আমাদের কাজের হিসাব নিবেন সমালোচনা করবেন, সেখানে আপনি তাঁর কাজের ব্যাপারে আপত্তি জানাচ্ছেন! কিন্তু তিনি যা করেন সবই ভালোর জন্যই করেন।
অর্থাৎ আপনার একথার মাধ্যমে প্রমানিত হয়, যে আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ এই সময়, প্রকৃতির বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রন করলে ভালো হতো! একটু চিন্তা করে দেখুন এটা কি শিরক নয়? আবারো বলছি,
আল্লাহ তাআলা আমাদের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা তিনি ভালো করেই জানেন আমরা ভবিষৎ- এ কি  করব? তাইতো তিনি বলছেনঃ
    █▄“অধিকাংশ মানুষ আল্লাহর উপর ঈমান আনা সত্বেও শিরকে লিপ্ত (মুশরিক)
(সুরা ইউসুফঃ১০৬)▄█   

এখন থেকেই শিরক থেকে বেঁচে থাকার প্রস্তুতি গ্রহন করতে হবে। কারন শিরক কৃত অবস্থায় মৃত্যুবরন করলে সারাজীবন জাহান্নামে থাকতে হবে। আল্লাহ আমাদের পুর্বের সকল শিরককৃত গুনাহ ক্ষমা করে দিন...আমাদের শিরক এর ব্যাপারে সুক্ষ্ম জ্ঞান দান করুন এবং এ থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক দান করুন।  আমীন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন