শিয়া (রাফেজী) এর ভ্রান্ত ও ভয়ংকর আক্বীদা

 শিয়া (রাফেজী) এর ভ্রান্ত ও ভয়ংকর আক্বীদা
বিসমিল্লাহ হির রহমানীর রহীম, আলহামদুলিল্লাহ, ওয়াস্ব সলাতু ওয়াস স্বলামু আলা রসুলুল্লাহ।
আমরা এমন এক যামানায় বাস করছি যেখানে প্রায় ৩ লাখের উপর দল ও মত আছে।এত দলের মধ্যে প্রধান প্রধান আক্বীদাভিত্তিক ভাবে দেখলে সব দলের একই উৎস। কিন্তু আপনি আমি মুসলিম হিসেবে যেভাবে সহজে ইসলামকে ভাগ করি সেটা হলঃ
                         ১. সুন্নী মুসলিম  ||  ২. শিয়া মুসলিম
এখন কথা হল মুহাম্মাদ(সঃ) এরকম নাম দিয়েছেন কিনা সেটা কোন প্রমান নেই। কে জানে এ
টা কোন চক্রান্ত। যাই হোক ইদানিং দেখা যাচ্ছে যে, ইরান, ও ইরাকের কিছি শিয়া এলাকার লোকদের ইসলামী আন্দোলন ও তাদের জোশ জোশ কথা কাজ ও তাদের কিছু নেতাদের (আহমাদিনেজাদ, আয়াতুল্লাহ আল- খোমেনী…) কাজ দেখে সবাই মারহাবা, সুবহানাল্লাহ, আল্লাহু আকবার বলে FB তে POST করে আর দুনিয়া কাপায়া দেয়। ভাই একবার কি জানার চেষ্টা করেছেন আসলে এরা কারা বা এই শিয়া জিনিষটা কি??
আসুন সংক্ষেপে জানি এদের আক্বীদা ও বিশ্বাস যা আপনার অন্তরকে কাপিয়ে দেবে।

 
شِيعَশি’য়া শব্দটি কুর’আনের অনেক জাগায় এ

সেছে। যেমনঃ সুরা-সফফাতঃ ৮৩, মরিয়ামঃ ৬৯, ক্বসাসঃ ১৫। এর অর্থঃ “সম্প্রদায় বা অনুসারী”। মুলত এদের নামঃ “রাফেযী” অর্থ, “অস্বীকার কারী” কারন তারা আমদের অধিকাংশ সাহাবীদের কাফের বলে ও মানে না। রাফেযী নাম দিয়েছেন হুসাইন(রাঃ)।
♣১. ইহুদী, খ্রিষ্টান ও সকল মুশরিকদের মত আল্লাহর সাথে শির্কের আকিদা (বিশ্বাস) পোষণ করাঃ তারা আলী (রাঃ) ও তাদের ইমামদের সব ক্ষমতার মালিক ও আলেমুল গায়েব মনে করে (নাউযুবিল্লাহ)
♠২. البداء- “বাদা” এর আকিদা পোষণ করা, যা আল্লাহ তা‘আলার প্রতি অজ্ঞতার সম্পর্ককে আবশ্যক করে তোলঃ এর মানে আল্লাহ আগে কিছু জানতেন না পরে কি চিন্তা ভাবনা করে জেনেছেন।(নাউযুবিল্লাহ)
♦৩. বার ইমামের নিষ্পাপ হওয়ার আকিদা পোষণ করাঃ এর মানে তারা বার ইমামকে চিরঞ্জীব ও নবুয়্যাতের দাবীদার ধরে।
♠৪. ‘কুরআন বিকৃত ও পরিবর্তিত অবস্থায় মওজুদ রয়েছে এবং তাতে বেশি ও কম করা হয়েছে’ — এমন আকিদা বিশ্বাস পোষণ করাঃ তারা মনে করে কুর’আন ৯০ পারা আবকি কুর’আন এর অংশ গোপন আছে আর এটা তাদের নোংরা ও নিকৃষ্ট আকিদাসমূহের অন্যতম, যা তাদেরকে ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয়া আবশ্যক করে তোলে
♣৫. মুমিন জননী, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুন্না-দের গালিদেয় ও তাদের জারজ ও বেশ্যা বলে অসম্মান করে। (নাউযুবিল্লাহ)
♦৬. এরা আলী(রাঃ), মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদ, আবূ যর আল-গিফারী এবং সালমান ফারসী ইত্যাদি কিছু সাহাবী ব্যতিত সকল সাহাবা (রাঃ)দের কাফের ও জারজ সন্তান বলে গালিদেয়। (নাউযুবিল্লাহ)
♣৭. ‘তাকিয়া’ (التقية) –এর আকিদাঃ এর মানে সুযোগ বুঝে মিথ্যা কথা বলে মুনাফেকী করা। প্রয়োজনে নিজেকে অমুসলিম দাবী করা খারাপ কাজ করা
♠৮. মুত‘আ বিয়ের (সাময়িক বিয়ে) আকিদাঃ এটা হল টাকার বিনিময়ে নারী ভোগ করা এতে কোন স্ত্রী মর্যাদা, উত্তরাধীকার নেই বরং তারা হাজার হাজার বিয়ে করতে পারে ভাড়া খাটিয়ে।স্পষ্ট বেশ্যাবৃত্তি।
♦৯. মহিলাদের যৌনাঙ্গ ধার করার (বেশ্যাবৃত্তি) বৈধতার আকিদা।
♠১০. নারীদের সাথে সমকামিতা বৈধতার আকিদা।
♦১১. রাজ‘আ (الرجعة) বা পুনর্জন্মের আকিদা।
♣১২. মৃত্তিকার আকিদাঃ এরা আলী, হাসান(রাঃ) বা এদের ইমামদের কবরের মাটিকে বর্কতময় মনে করে ও তা নিয়ে মাথায় গায়ে, মাখে।
♦১৩. হোসাইনের শাহাদাতের স্মরণে মাতম, বক্ষ বিদীর্ণকরণ ও গালে আঘাত করার মধ্যে সাওয়াব প্রত্যাশার আকিদা; যা বিপদে ধৈর্য অবলম্বন করার ইসলামী আকিদা বিশ্বাসের পরিপন্থী।
♣১৪. এরা সাধারনত হাজ্জ করে না বরং ইমামদের কবরে আলী(রাঃ)এর কবরের চারপাশে তাওয়াফ করে হাজ্জ মনে করে।
♠১৫.এরা কুর’আনের মধ্যে “আল-বেলায়াহ” ও “লাওহে ফাতিমা” নামে দুটি সুরা বানিয়ে রেখেছে।
♥১৬.এরা সমগ্র বিশ্বের মানুষকে জারজ সন্তান বলে শুধু মাত্র ইরানের বা ইরাকের মাটির শিয়াদেরকে original মানুষ মনে করে।

এখন আপনি বিবেচনা করুন এদের ব্যাপারে। কাউকে support করার আগে তার ভেতরের কথা জেনে নিন। এরা মুসলিম সমাজের প্রথম শত্রু এবং কাফের। অথচ আমরা এখনো ইরানের মত একটা দেশ আর তাদের ইমাম ও নেতাদের ইসলামের অনেক বড় কিছু মনে করি ও তাদের আদর্শ হিসেবে নেই এটা চরম ভুল আর এই ভাবে জাম'আত ও শিবির দলটিও এই আক্বীদার মধ্যে থেকে ইসলামের নামে বাতিল ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আল্লাহ এদের হিদায়াত দিন নয়তো এদের ধ্বংস করুন আমীন
◙এখানে সংক্ষিপ্ত ভাবে কিছু আক্বীদা দেয়া হল। ধারাবাহিক বিস্তারিত ও দালীলসহ এদের ভয়ংকর বিশ্বাস ও কাজ পড়ার জন্য www.TAWHEEDULLAAH.com এ visit করুন।◙

2 মন্তব্যসমূহ

নবীনতর পূর্বতন