গর্ব করে পাপ এর কথা প্রকাশ !!

আলহামদুলিল্লাহ! ওয়াস্ব সলাতু ওয়াস্ব সলামু আ'লা রসুলিহীল আমীন।
আমরা যারা নামধারী মুসলিম তাদের অনেক অন্তর্নীহিত সমস্যার একটি ভয়ানক সমস্যার কথা বলা দরকার। আর সেটা হলঃ
♦♦♦♦"গর্ব করে বা মজা করে নিজের পাপের কথা প্রকাশ করা"♠♠♠♠
একটি হাদিস জানা যাকঃ

☻আবু হোরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আমার প্রত্যেক উম্মতের গুনাহ মাফ হবে । তবে যে প্রকাশ্যে গুনাহ করে অথবা গুনাহ করে তা প্রকাশ্যে বলে বেড়ায়, তার গুনাহ মাফ হবে না ।♥ এটা তো খুব পাগলামি ও দু;সাহসের কথা যে, একজন রাতে বদ আমল করে ফেলেছে, আর আল্লাহ তা’য়ালা তা গোপন রেখে দিয়েছেন। কিন্তু ভোর বেলায় লোকটি বলে বেড়ায় যে হে অমুক! অমুক, আমি গত রাতে এমন কাজ করেছি অথচ রাতে তো আল্লাহ তা’য়ালা তার গুনাহ সমূহ গোপন রেখেছিলেন । আর সকালে সে নিজেই আল্লাহর দেয়া আবরণ খুলে ফেলল। নিজের গুনাহ নিজেই প্রকাশ করে দিল ।–বোখারী
****************************************************
আজ এদের সংখ্যা প্রচুর। আল্লাহ আমাকে ও আমাদের হেফাযাত করুন। ব্যাপারটা এতই গভীরে চলে গেছে যেঃ

♣ একজন ছাত্রে সামনে তার শিক্ষক বা শিক্ষকের সামনে ছাত্র-ছাত্রী
♣ একজন সন্তানের সামনে বাবা-মা বা বাবা-মার সামনে সন্তান
♣ বন্ধুদের সামনে সবাই
♣ বেড়াতে গেলে বা কোন অনুষ্ঠানে
♣ আপরিচিত কারো সামনে
যে কোন পরিস্থিতিতে এমন এক অবস্থা আমাদের বাছ-বিচার নেই নিজের পাপের কথা পাপ মনে না করে ধাপ করে বলে বসি!!!

উদাঃ আপনি বা আপনার কেউ পরিচিত গান-বাজনা করে। এ নিয়ে আপনার গর্বের শেষ নেই। আপনি যার তার কাছে এ কথা বলে বেড়ান যে আমি বা আমার অমুক অমুক চরম গলা নিয়ে গান গায়।
☻ আবার আপনি বা আপনার ছেলে ব্যাংকে চাকুরী করে। এ নিয়ে আপনি সবাইকে গর্বে বলে "আমার অমুক তো ব্যাংকে চাকুরী করে"
জম্মদিন পালন করি ছবি তুলি আবার অনুষ্ঠানে গিয়ে হারাম মজা করি আর পরে বন্ধু-বান্ধবীদের এসে এগুলো বলি আর ছবি দেখাই।
☻প্রেম করি আর গার্লফ্রেন্ড এর কথা মজা করে সবাইকে বলি, পারলে ১ বছর পুর্তীতে সবাইকে চাইনিজ খাওয়াই
ঘুষ দিয়া ছেলে-মেয়েকে ভর্তি করি বা নিজে চাকুরীতে নিয়োগ দেই আর মুখে গর্ব করে বলি "ঘুষ ছাড়া এসব কাজ হয় নাকি"
এভাবে হাজারো মুখ ফস্কানো কথা আমরা দম্ভ ভরে বলি!!! আপনার লজ্জা করা উচিত এসব কথা বলার আগে.................. এগুলো কোন মজার কথা না বরং এগুলোই অহংকার!!
◙ আর যদি কেউ এসে এ ব্যাপারে হাদিস বলে বা নাসীহাত করে তাহলে সোজা সাপ্টা কথা আসেঃ " হাজী সাহেবের মুখ খারাপ!! "
বলি, আপনি আপনার মুখ দিয়ে যদি গুনাহের কথা অহংকার করে এ সমাজে বলতে পারেন। তাহলে আমার মুখ দিয়ে একটা হাদিস বা নাসীহাত বের হলে আপনার এত লাগে কেন?? আল্লাহ ফাসেক সম্প্রদায়কে হেদায়াত দেন না।
এব্যাপারে আমরা যদি পরস্পরকে সাহায্য করি তাহলে কথার এসব গুনাহ থেকে ইনশাহ-আল্লাহ আমরা বেচেঁ থাকতে পারবো।
আল্লাহ আমাদের এই তাওফীক দিন আমীন।