«» দাড়ি «»
মুসলিম সমাজের ভিতরে এমন একটি রোগ আছে যাতে স্পষ্ট মুনাফেকি ভাব প্রকাশ পায়। এটা
এমন এক নিয়ামাত যা একজন মুসলিম কে আল্লাহ দেন
সৌন্দর্য, সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য কিন্তু অধিকাংশ মুসলিমরা এটা ত্যাগ করে।
সেটা হলঃ দাড়ি
দাড়ির ব্যাপারে কুর’আনের একটি আয়াত আছেঃ
“হারুন(আঃ)বললঃ হে আমার জননী-তনয়(মুসা), আমার দাড়ি ও মাথার চুল ধরে টানিও না”
(সুরা ত্বহাঃ৯৪)
অর্থাৎ বোঝা গেল আমাদের সকল নাবী রসুলগনের দাড়ি ছিল।
হাদিসে এসেছেঃ
রসুল(সঃ) বলেছেন, “তোমরা মুশরিকদের বিপরীত করবেঃ দাড়ি লম্বা রাখবে আর গোঁফ
ছেটে ফেলবে।” (সাহীহ বুখারীঃ ইসলামিক
ফাউনডেশনঃ৯/৫৪৭৩)
তিনি আরো বলেনঃ “তোমরা দাড়ি ছেড়ে দাও(বাড়াও)।” (বুখারীঃ৫৮৯৩, মুসলিমঃ২৫৯)
সুতরাং দাড়ি কাটা একপ্রকার মুশরিকদের মতো হওয়া আর রসুল(সঃ) এর আদেশের বিরুদ্ধে
কাজ করা হারাম।
কিছু মানুষ আছে যারা দাড়ি কিছুটা রাখে কিন্তু
যখনিঃ
“মা-বাবা চাপ দেয়, স্ত্রী অপছন্দ করে, কোন
মেয়ে অপছন্দ করে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়, ছবি তুলে, ইন্টারভিউ
দিতে যায়, ফাসেক টাইপের লোকদের এর নির্দেশে, বেড়াতে গেলে, দাওয়াতে গেলে,
কেউ খোটা বা লজ্জা দিলে,চাকুরী যাওয়ার ভয়ে, এমনি এমনি!......”
বিভিন্ন
ভাবে দাড়ি কেটে বা ছেটে ফেলে। তাদের অন্তরে এটতুকু ও আসে না যে তারা যে ভয়
বা লজ্জা করছে সেটা স্পষ্টঃ
১. রিয়া(শিরকে
আসগার) ২. মুনাফেকি
যারা দাড়ি কাটছেন তাদের একটু স্মরন করিয়ে
দিতে চাই ঐ আয়াত এর কথাঃ
“(শায়তানবলছেঃ)নিশ্চয়ই আমি নির্দেশ দিব (মানুষ) কে যাতে তারা আল্লাহর সৃষ্টি
কে বিকৃত করবেই”
(সুরা-নিসাঃ১১৯)
এই আয়াত দিয়ে একজন মুসলিম অন্য(দাড়ি কাটা
বা ছাটা)মুসলিম এর ব্যাপারে ধারনা করতে পারে যেঃ
সে শায়তানের আনুগত্য করছে আর একটা ক্ষুদ্র মুনাফেকি ভাব তার মধ্যে আছে।
দাড়ি রাখা ওয়াজিব ও চাছা হারাম কেননা এটা অগ্নিপুজক
আর মাজুসীদের সাদৃশ হয়ে যায়। আর
রসুল(সঃ)
বলেনঃ
“যা ব্যাক্তি কোন জাতির মতো(শারিয়াতি)রুপ
ধারন করবে সে তাদের দলে পড়বে।”
(আহমাদঃ২/৫০,আবু
দাউদঃ৪০৩১)
সুতরাং আপনি মুসলিম হলে
আপনাকে কেন মানুষ এক দেখাতে চিনবে না?? কেন আপনার দ্বীনের বৈশিষ্টকে আপনি তুলে
ধরছেন না?? কেন এত মানুষের ভয় লজ্জা?? কেন এত অজুহাত?? আপনি দাড়ি কেটে প্রমান
করছেনঃ
“আল্লাহ আপনার দাড়ি দিয়ে ভালো কাজ করেন নি
তাই আপনি দাড়ি কেটে আল্লাহকে সংশোধন
করছেন” (নাউজুবিল্লাহ)
আল্লাহ সম্পর্কে এরুপ খারাপ ধারনা আপনি পোষন করছেন???
আল্লাহ সত্যই বলেছেনঃ
“আর মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন
রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি
অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়।” (সুরা বাকরাঃ৮)